csb24.com::
বাংলাদেশকে কিছুটা ভয় পাইয়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার। প্রথমে মুশফিকুর রহিমকে তুলে নিলেন। তারপর একই ওভারে শিকার করলেন সেট জুটি নাসির হোসেন ও তামিম ইকবালকে। ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ চাপে। কিন্তু মাহমুদ উল্লা (২১ বলে অপরাজিত ২২) ও লিটন দাস (১২ বলে ১৭) মিলে সেই চাপ থেকে বাংলাদেশকে বের করে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা (১২ বলে অপরাজিত ১৫) শেষ করলেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়মে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতলো ৪ উইকেটে। জয় এলো ১৪ বল হাতে রেখেই। দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগাররা।
দুর্ভাগ্য এনামুল হকের। ওয়ানডেতে সুযোগ পান নি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নামলেন। ১ রান করলেন। কিন্তু তারপরই রান আউট হলেন। সাব্বির রহমান এসে তামিমের সাথে যোগ দিলেন। দুজনে মিলে সামলে নিলেন প্রাথমিক ধাক্কাটা। ৩৯ রানের জুটি হলো। এর পর ভাংরো জুটি। সিজোরোর বলে আরভিনের তালুবন্দি হলেন সাব্বির। এর ৯ রান পরই ফিরে এলেন মুশফিকুর রহিম (২)। গ্রায়েম ক্রেমারের বলে সিকান্দার রাজাকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
এরপরই কাঁপন এসে লাগে বাংলাদেশের শরীরে। একাদশ ওভার। ২৫ রানের জুটি হয়েছে নাসির ও তামিমের মধ্যে। তামিম বুঝে শুনে খেলছেন। কিন্তু স্পিনার ক্রেমার প্রথমে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেললেন নাসিরকে (১৬)। তামিম (৩১) এরপর তার শিকার। তিনিও এলবিডব্লু।
সেট দুই ব্যাটসম্যানকে হারালো বাংলাদেশ। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে তখন বাকি মাহমুদ উল্লা ও লিটন দাস। ওয়ানডেতে ব্যর্থ লিটন টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েছেন। দুজনেই উইকেটে নতুন। এই অবস্থায় চাপটা সামলে নিলেন তারা। ১৭ রান করে লিটন যখন বিদায় নিলেন তখন জয়ের কাছে বাংলাদেশ। মাহমুদ উল্লার সাথে তার মূল্যবান ৩৮ রানের জুটি হয়েছে। মাহমুদ উল্লা মাশরাফির সাথে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ম্যালকম ওয়ালার।
চাপ সামলে টাইগারদের প্রত্যাশিত জয়
এর আগে জিম্বাবুয়ে যখন ধুকতে শুরু করেছে তখনই বিস্ফোরণের মতো আগমন ওয়ালারের। বড় বড় শটে বাংলাদেশের বোলারদের বাইরে আছড়ে ফেলতে শুরু করলেন। ২০ বলেই করলেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ওয়ালার ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। আর জিম্বাবুয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে একেবারে মন্দ সংগ্রহ গড়েনি।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম এই টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে মাশরাফি বিন মুর্তজা পাঠান ব্যাটিংয়ে। প্রথম ওভারেই সিকান্দার রাজাকে (৪) তুলে নেন। পরের দুই ওভারে আল আমিন ও মাশরাফি আরো দুই উইকেট তুলে নেন। তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস ও ক্রেগ আরভিন ২৮ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন। নবম ওভারে উইলিয়ামসকে (১৫) বোল্ড করেন নাসির হোসেন।
উইকেটে এসেই ওয়ালার তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন। দশম ওভারটি ছিল লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনের ক্যারিয়ারের প্রথম ওভার। ১৭ রান নেন ওয়ালার। দুটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মারেন। নাসিরের পরের ওভারে ওয়ালার আরো দুটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। এভাবেই ২০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ওয়ালার।
আরভিনের সাথে পঞ্চম উইকেটে ওয়ালারের ৬৭ রানের জুটি হয়। এই জুটিটা ভাঙা জরুরি হয়ে পড়েছিল। দরকার ছিল আরো উইকেটের। ৪ উইকেটে ১০৫ রান থেকে ৭ উইকেটে ১০৮ রানের দল হয় জিম্বাবুয়ে। আরভিনকে (২০) তুলে নেন মাহমুদ উল্লা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে জুবায়ের দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারে ঠেলে দেন। ওয়ালার তখনও ছিলেন। তাকে ১৮তম ওভারের সময় শিকার করেন মুস্তাফিজ। ৩১ বলে ৬টি ছক্কা ও ৪টি চারে ৬৮ রান করেছেন ওয়ালার। শেষ উইকেটটিও মুস্তাফিজের। মাশরাফি, আল আমিন, মুস্তাফিজ, ও জুবায়ের দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাসির ও মাহমুদ উল্লা।
পাঠকের মতামত